রাজনীতি যদি হয় হৃদয়ের কথা শোনার শিল্প, তবে আলহাজ মোঃ হাসানুল ইসলাম রাজা (রাজা ভাই) সেই শিল্পের একজন নীরব কিন্তু বলিষ্ঠ কারিগর।
১০ মে, শুক্রবার, মাগরিবের নামাজের পর পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের ওলিপুর, ৯নং ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত এক আন্তরিক উঠান বৈঠকে রাজা ভাই আবারও প্রমাণ করলেন — রাজনীতি মানে তাঁর কাছে শুধু নেতৃত্ব নয়, এটা একান্ত মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার।
“জনগণের কাছে রাজা ভাই”: হৃদয়ের ডাকে সাড়া দেওয়া এক কর্মসূচি
এই বৈঠক ছিল তাঁর চলমান “জনগণের কাছে রাজা ভাই” কর্মসূচির অংশ, যেখানে তিনি পাবনা-৩ (চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর) নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি প্রান্তে গিয়ে সরাসরি মানুষের মুখ থেকে শোনার চেষ্টা করছেন—তাদের জীবনের গল্প, সংকট, স্বপ্ন ও সম্ভাবনার কথা।
রাজা ভাই বলেন,
“মানুষের হৃদয়ের কাছাকাছি থাকার নামই রাজনীতি। ক্ষমতা নয়, ভালোবাসা আমার রাজনীতির মূল শক্তি।”
উঠান বৈঠকের বাস্তবতা: মানুষের চোখে মুখে আশা, কথায় কথায় বাস্তবতা
এই উঠান বৈঠকে রাজনীতি যেমন ছিল, তেমনি ছিল জীবনের স্পর্শ।
- এক তরুণ জানায়, চাকরির সুযোগ পায় না।
- এক প্রবীণ কৃষক বলেন, সার পায় না, দাম পায় না।
- এক মা বলেন, সন্তানকে পড়াতে পারছেন না ঠিকমতো।
রাজা ভাই শুধু শুনেছেনই না—লিখে নিয়েছেন, সুরাহার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁর কণ্ঠে ছিল আন্তরিকতা, চোখে ছিল দায়বদ্ধতার দীপ্তি।
“আপনাদের কথাই আমার কর্মপথের দিকনির্দেশ। আপনাদের সাথেই আমার যাত্রা, আমার সংগ্রাম।”
সভাপতিত্ব ও পরিবেশ
উঠান বৈঠকটি জনাব আনোয়ার মেম্বারের সভাপতিত্বে, তাঁর নিজ বাড়ির আঙিনায় অনুষ্ঠিত হয়। ছোট পরিসরের এই মিলনমেলায় এলাকার যুবক, কৃষক, গৃহিণী, প্রবীণ সকলেই উপস্থিত ছিলেন।
শুধু রাজনৈতিক বক্তব্য নয়—মানুষের স্বপ্ন, কষ্ট, ভালোবাসা—সব মিশে গিয়েছিল সেই সন্ধ্যায়। এই সমাবেশ যেন একাত্মতা আর আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছিল।
রাজনীতি মানেই ভালোবাসা, দায়িত্ব ও পাশে থাকার অঙ্গীকার
রাজা ভাইয়ের কাছে রাজনীতি মানে নির্বাচনের সময় পাড়া-মহল্লা ঘোরা নয়, বরং সারাবছর মানুষের পাশে থেকে তাদের কথা শোনা, কাঁধে হাত রাখা, দুঃখে-সুখে সঙ্গী হওয়া।
এই উঠান বৈঠক তারই নিখুঁত প্রতিচ্ছবি।
এই উদ্যোগ প্রমাণ করে—রাজা ভাই মানুষের কণ্ঠস্বর, জনগণের আশা, এবং নেতৃত্বের নতুন সংজ্ঞা।