কর্মসংস্থানের সংকটে যুবসমাজ
বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তেই আজ একটি শব্দ প্রতিধ্বনিত হচ্ছে—চাকরি। হাজার হাজার তরুণ উচ্চশিক্ষা অর্জনের পরও বেকার। পাবনা-৩ (চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর) এলাকায়ও এর ব্যতিক্রম নয়। তরুণদের চোখে ক্লান্তি, পরিবারে চাপ, স্বপ্নের মৃত্যু যেন নিত্যদিনের চিত্র। এই কঠিন বাস্তবতার মাঝেই এক নতুন আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন একজন ব্যক্তি—আলহাজ্ব হাসানুল ইসলাম রাজা, যিনি শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি দেন না, পরিকল্পনা করেন।
এই কন্টেন্টে আমরা জানব “রাজা ভাইয়ের কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা” কী, কেন তা বাস্তবসম্মত, এবং কিভাবে তা পাবনা-৩ এর যুবসমাজকে গঠনমূলক ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
পরিকল্পনার মূল দৃষ্টিভঙ্গি: শিক্ষা + দক্ষতা = স্বাবলম্বী যুব সমাজ
রাজা ভাই বিশ্বাস করেন, বর্তমান যুগে কেবল প্রথাগত ডিগ্রি দিয়ে কিছুই হয় না। প্রয়োজন প্রযুক্তিগত দক্ষতা, আত্মনির্ভরতা ও পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ। এজন্য তিনি কর্মসংস্থান পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন:
- টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা
- আইটি সেন্টার ও ডিজিটাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম
- হস্তশিল্প ও গ্রামীণ শিল্প প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
এই কেন্দ্রগুলোতে যে বিষয়গুলো শেখানো হবে তা হলো:
- কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও গ্রাফিক ডিজাইন
- ই-কমার্স এবং ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং
- হস্তশিল্প নির্মাণ, মৃৎশিল্প, বাঁশ-কাঠের সামগ্রী প্রস্তুত
- ক্ষুদ্র ব্যবসা ব্যবস্থাপনা, অ্যাকাউন্টিং ও মার্কেটিং
সেন্টারগুলোতে স্থানীয় শিক্ষিত ও অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রত্যেক প্রশিক্ষণ শেষে থাকবে অ্যাসেসমেন্ট ও সার্টিফিকেট। ফলে, অংশগ্রহণকারীরা নিজ নিজ দক্ষতা প্রমাণ করতে পারবেন চাকরির ক্ষেত্রে বা ব্যবসায়িক সহযোগিতায়।
তিনি বলেন:
“চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুরের প্রতিটি ওয়ার্ডে এমন জায়গা চিহ্নিত করব যেখানে যুবক-যুবতীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেই উদ্যোক্তা হতে পারবে।
চাকরি নয়, উদ্যোক্তা গড়া হবে মূল লক্ষ্য
রাজা ভাইয়ের কর্মসংস্থানের পরিকল্পনার এক ব্যতিক্রমী দিক হলো—তিনি কেবল চাকরির সন্ধান করতে বলেন না, তিনি চান উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে। এজন্য তিনি নিচের পদক্ষেপ নিয়েছেন বা পরিকল্পনায় রেখেছেন:
- স্থানীয় ব্যাংকের সাথে যৌথভাবে ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য সুদমুক্ত ঋণ প্রোগ্রাম চালু করা
- স্টার্টআপ প্রমোশন স্কিম যেখানে নতুন ব্যবসার জন্য বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান করা হবে
- নারীদের জন্য পৃথক উদ্যোক্তা সহায়তা ফান্ড চালু করার প্রস্তাবনা
এই অংশে থাকছে:
- নতুন উদ্যোক্তাদের আইডিয়া ডেভেলপমেন্ট সাপোর্ট
- একটি Startup Incubation Centre চালু করা, যেখানে যুবকরা তাদের বিজনেস প্ল্যান রিভিউ এবং মেন্টরশিপ পাবেন
- উদ্যোক্তাদের স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে সংযুক্ত করতে “বিজনেস এক্সপো” আয়োজন
রাজা ভাই বলেন:
“আমাদের যুবসমাজ শুধু চাকরির পেছনে ছুটবে না, বরং অন্যদের চাকরি দেওয়ার সাহস পাবে।”
বর্তমান অবস্থা ও পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা
পাবনা-৩ এলাকায় ১৮–৩৫ বছর বয়সী যুবসমাজের বেকারত্ব হার প্রায় ৩৪% (স্থানীয় সমীক্ষা অনুযায়ী)। এ ছাড়া কর্মরতদের অনেকেই স্বল্প মজুরির অনিরাপদ পেশায় যুক্ত। ফলে পরিবারে অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে রাজা ভাই উপলব্ধি করেছেন, রাজনীতি মানে কেবল রাস্তাঘাট নয়, রাজনীতি মানে হলো ভবিষ্যৎ গড়া।
তিনি বলেন:
“আমি এমপি হই বা না হই, এই এলাকার প্রতিটি তরুণের ভবিষ্যৎ গঠনে আমি কাজ করে যাব।”
এই মানবিক ও বাস্তবসম্মত অবস্থানই রাজা ভাইকে আজ পাবনা-৩ এর যুবসমাজের হৃদয়ে এনে দিয়েছে এক বিশেষ জায়গা।
স্থানীয় জনসংযোগ ও বাস্তবায়নের রূপরেখা
রাজা ভাই ইতিমধ্যে শুরু করেছেন ওয়ার্ডভিত্তিক উঠান বৈঠক, যেখানে যুবসমাজের অভিযোগ শোনা হচ্ছে, চাহিদা বোঝা হচ্ছে, এবং তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে।
- ইউনিয়নভিত্তিক “চাকরি ও উদ্যোক্তা সহায়তা টিম” গঠন করা হচ্ছে
- অনলাইন পোর্টাল চালু হবে যেখানে যুবক-যুবতীরা তাদের দক্ষতা ও পছন্দ অনুযায়ী প্রশিক্ষণের জন্য আবেদন করতে পারবে
- বছরে অন্তত ৫০০০ জনকে কর্মদক্ষ করে গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে
- প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে Youth Resource Centre গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও নেতৃত্বের প্রতিশ্রুতি
রাজা ভাই তাঁর পরিকল্পনায় বলেছেন:
“আমার রাজনীতি হবে তরুণদের সম্ভাবনার রাজনীতি। তাদের স্বপ্ন দেখে নয়, তাদের স্বপ্ন পূরণ করেই আমি আগামী ভবিষ্যৎ গড়ব।”
এই প্রতিশ্রুতি কেবল কথার কথা নয়। ইতোমধ্যেই তিনি বিভিন্ন ওয়ার্ডে নিজ উদ্যোগে স্কিল ট্রেনিং চালু করেছেন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।
পাবনা-৩ এলাকায় দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করে রপ্তানিযোগ্য দক্ষ কর্মী গড়ে তোলার পরিকল্পনাও তিনি গ্রহণ করেছেন, যার মাধ্যমে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে অবদান থাকবে।
জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া: আশার নতুন ঠিকানা
উঠান বৈঠকে এক তরুণ বলেন:
“অনেকেই কথা বলেন, কিন্তু রাজা ভাই শুধু বলেন না—কাজ করেন। ওনার নেতৃত্বেই আমরা নতুনভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখি।”
একজন নারী উদ্যোক্তা বলেন:
“ওনার পরিকল্পনায় আমাদের মতো গৃহবধূরাও স্বাবলম্বী হওয়ার সাহস পাচ্ছে।”
এই সকল প্রতিক্রিয়া দেখায়, কর্মসংস্থান শুধু আর্থিক মুক্তির পথ নয়—এটি এখন মানুষের আশা, আত্মসম্মান ও ভবিষ্যতের গ্যারান্টি হয়ে উঠেছে।
নেতৃত্ব মানেই কর্মপরিকল্পনায় দৃঢ়তা
রাজা ভাইয়ের কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা আজ পাবনা-৩ এলাকার যুবসমাজের জন্য এক আশার আলো। যেখানে কথার চেয়ে কাজ বড়, প্রতিশ্রুতির চেয়ে পরিকল্পনা বড়। রাজা ভাই যেমন বলেন:
উন্নয়ন মানে কেবল প্রজেক্ট নয়, উন্নয়ন মানে মানুষের জীবনে পরিবর্তন।
এই বিশ্বাস ও প্রয়াসেই রাজা ভাই হয়ে উঠেছেন এক অনন্য রাজনৈতিক নেতা, যিনি প্রতিদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন একটি আত্মনির্ভরশীল, কর্মসংস্থান-নির্ভর সমাজ গড়ার জন্য।